সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

ছিনতাই ও শ্লীলতাহানী মামলায় ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার 

ঢাবি প্রতিনিধি

ছিনতাই ও শ্লীলতাহানী মামলায় ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক নারীর সাথে অশ্লীলতা, তার স্বামীকে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরদ্ধে করা মামলায় বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগ নেতার নাম তানজির আরাফাত তুষার।

শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

শাহবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, মামলার পরপরই তুষারকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। তুষারকে গ্রেফতার করে আদালত প্রেরণ করা হয়েছে। রাহূলকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন তানজির আরাফাত তুষার ও রাহুল রায়। এদের মধ্যে তানজির আরাফাত তুষার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের কবি জসীম উদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।  তিনি হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

অন্যদিকে রাহুল রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী মাহেরা আফরোজ ১৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০ টায় স্বামীর সাথে মোটরসাইকেল যোগে উদ্যানের পূর্ব দিকে শিখা চিরন্তন গেইটের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তুষার ও রাহুল তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এদের মধ্যে রাহুল ভুক্তভোগীর শরীরে পিছন দিয়ে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। 

অন্যদিকে তুষার ভুক্তভোগীর স্বামীকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। তখন ডিউটিরত আনসাররা ভুক্তভোগীদের রক্ষা করতে গেলে তাদেরকে চেয়ার দিয়ে আঘাত করেন রাহুল ও তুষার। এসময় রাহুল নারীর স্বামীর গলায় থাকা ১.৫ ভরি স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। যেহেতু একটা অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। 

মামলাটি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখবে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সহযোগিতা লাগলে সেটা করা হবে। আবার খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনো নিরীহ শিক্ষার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয়। অপরাধী প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ও যথাযথ পদক্ষেপ নিবে।

টিএইচ